শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা: উপদেষ্টা নাহিদের সতর্কবার্তা
শিক্ষার্থীদের বিভাজন নিয়ে উদ্বেগ
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের পাঁয়তারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
“শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করতে পারলে, এর প্রভাব ভবিষ্যৎ আন্দোলন এবং জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ঘটনাগুলোকে খাটো করতে সাহায্য করবে। এটি যেন কেউ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এখন আমাদের সৃজনশীলতা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
উপদেষ্টা আরও বলেন,
“জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখেছি। সেই অভ্যুত্থানের সুফল যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক পায়, তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের আন্দোলন শুধু স্বৈরাচার মুক্তির জন্য ছিল না; আমরা বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি।”
নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
“আমাকে স্যার না ডেকে ভাই বলুন। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব। জাতির প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো। তবে তার আগে সবার মনোযোগ লেখাপড়ায় দিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান এবং আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন,
“তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ। তারা সুযোগ পেলে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে উপস্থাপন করবে। আন্দোলনে আহতরা যেন আজীবন চিকিৎসাসেবা পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম আমিনুল হক বলেন,
“দেশ গঠনে বিজ্ঞানের বিকল্প নেই। তবে আমাদের কলেজটি এখনও ১৯৫৪ সালের পুরনো অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণে উপদেষ্টার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
উপদেষ্টার সঙ্গে প্রাক্তন সম্পর্ক
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম নিজেও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি কলেজের ঐতিহ্য এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের অবদানের প্রশংসা করেন।
0 comments:
Post a Comment